বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বুধবার রাতে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।-নুর মোহাম্মদ কাকা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল এবং উক্ত আইনের তফসিল-২ এ ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসাবে তালিকাভুক্ত করল। ইহা অবিলম্বে কার্যকর হবে।।
জনমত যাচাই কালে জানা যায়-বিগত ১৫ বৎসরের আওয়ামী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-এর ভালোকাজের নজির নাই বল্লে চলে।। কিন্তুু নজিরবিহীন হত্যা, নির্যাতন, কলেজ ও ইউনিভার্সিটির রুম কেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি,ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন-সহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এই সম্পর্কিত প্রামান্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং বেশ কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে। এই সকল কর্মকাণ্ডের কারনে অন্য সকল ছাত্ররা ছাত্রলীগ-কে নিষিদ্ধ করার পক্ষে অবস্থান নেন।
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার পর তাৎক্ষণিক সংগঠনটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আওয়ামীলীগ মনে করে- ডঃ ইউনুছ গং সরকারেরই আইনগত বৈধতা নেই। যাদের নিজেদের বৈধতা নেই, তাদের এই হাস্যকর কর্মকাণ্ড নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চিন্তিত নয়।।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসাবে তালিকাভুক্ত হলো।।